About Us

About Katirhat Mohila Degree College

নারী শিক্ষার বিস্তার সাধনের গুরুত্ব সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda) বলেছিলেন একটি ডানার সাহায্যে পাখি যেমন আকাশে উড়তে পারে না, তেমনি শুধুমাত্র পুরুষজাতি শিক্ষিত হলে সামাজিক সুস্থতা বজায় থাকে না। তাই নারীদের শিক্ষার মধ্য দিয়ে আগে তুলতে হবে। তবেই সমাজের কল্যাণ সাধন সম্ভবপর হবে। গ্রীক যোদ্ধা Napoleon বলেছেন- "Give me a few educated mothers; I shall give you a heroic race." অর্থাৎ "আমাকে কয়েকটা শিক্ষিত মা দাও; আমি তোমাকে বীরের জাতি দেব।" যুগোপযোগী ও আধুনিক নারী শিক্ষার মানদন্ডকে সামনে রেখে ‘আমাকে কয়েকটা শিক্ষিত মা দাও; আমি তোমাকে বীরের জাতি দেব’ -এই নীতিবাক্যকে মর্মমূলে ধারণ করে ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ‘কাটিরহাট মহিলা কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব হচ্ছে এখানে সাধারণ মানের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে অসাধারণ ফলাফল ও জীবন বিকাশে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। একবিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে জ্ঞান-বিজ্ঞানের স্রোতধারায় জাতি হিসেবে বিশ্ব আসনে আসীন হওয়ার প্রধান হাতিয়ার সুশিক্ষিত মানসম্পদ। তাই মানবসম্পদের সৃষ্টিশীল বিকাশে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমন্ডলী কঠিন বাস্তবতার নিরিখে শিক্ষার্থী তথা নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত ও আধুনিক শিক্ষায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদের সেবার ব্রত নিয়ে প্রতিনিয়ত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন । অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। স্বপ্নের বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে নিবিড়

পরিচর্যা ও অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও সৃজনশীলতা বিকাশে কাটিরহাট মহিলা কলেজ সর্বদা সচেষ্ট ও অঙ্গীকারবদ্ধ। গতানুগতিক পাঠদানের পাশাপাশি জীবনমুখী শিক্ষা, সহশিক্ষাকার্যক্রম ও বিভিন্ন ক্লাব কার্যক্রমে অংশগ্রহনের জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানেও উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর। উন্নয়নের রূপকল্প, সাংস্কৃতিক বিকাশ, প্রগতিশীল চিন্তা, শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও নিরবচ্ছিন্ন শান্তির মূল্যবোধকে ধারণ করে আমাদের এই স্বাপ্নিক যাত্রায় সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গুণিজনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন উন্নতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রুপায়নে গঠনমূলক সমালোচনাসহ আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতা আমাদের কাম্য।